বর্তমান সময়ে অনলাইন শপিং এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে খাবার অর্ডার করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে মধু, ঘি, আঁচার, এবং বালাচাওয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী খাবারও এই প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। তবে, সাম্প্রতিককালে ভোক্তাদের অভিযোগ বেড়েছে যে, অনেকেই প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক অর্ডারের মাধ্যমে নিম্নমানের বালাচাও কিনে ঠকছেন এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।
নিম্নমানের বালাচাও এর ঝুঁকি
বালাচাও, বিশেষ করে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চিংড়ি বালাচাও, বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি মূলত সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করার কারণে মানুষের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। কিন্তু বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম এই জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে নকল এবং নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি বালাচাও বিক্রি করছে, যা ভোক্তাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে উঠেছে।
অনেক প্ল্যাটফর্ম যেগুলো মূলত মধু, ঘি, আঁচার, হানি-নাটস, চিয়া সীডস, তাল মিশরি, গুঁড়া মশলা ইত্যাদি বিক্রি করে, তারা বালাচাওও বিক্রি শুরু করেছে। কিন্তু এগুলোর নিজস্ব কোনো কিচেন বা প্রস্তুতকারক নেই। বরং, তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুতকৃত নিম্নমানের বালাচাও পাইকারি দরে কিনে এনে তা মোড়কজাত করে বিক্রি করছে। এসব বালাচাওয়ের প্রস্তুতি পদ্ধতি, ব্যবহৃত উপকরণ, এবং সংরক্ষণের মান নিয়ে কোনো স্বচ্ছতা নেই। এর ফলে, অনেকেই এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন।
ভোক্তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং প্রতারণার শিকার
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনা বালাচাও খেয়ে পেটের পীড়া, ফুড পয়জনিং, এমনকি খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন। নিম্নমানের চিংড়ি, ক্ষতিকর তেল, এবং অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভের ব্যবহারের কারণে এইসব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এর পাশাপাশি, স্বাদের দিক থেকেও এ ধরনের বালাচাও আসল বালাচাওয়ের তুলনায় অনেক কম মানসম্পন্ন। তাই, ভোক্তাদের মধ্যে প্রতারণা এবং অসন্তোষ বাড়ছে।
কেন আসল প্রস্তুতকারক থেকে কেনা উচিত
আসল বালাচাও প্রস্তুতকারক, যেমন ‘বালাচাওমেকার’, নিজস্ব কিচেন এবং প্রাকৃতিক উপকরণের ব্যবহার নিশ্চিত করে। ‘বালাচাওমেকার’ ব্র্যান্ডটি ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে এবং বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা চিংড়ি বালাচাওয়ের আসল স্বাদ এবং মান বজায় রেখে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। তারা শুধুমাত্র উৎকৃষ্ট মানের চিংড়ি, মশলা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বালাচাও তৈরি করে, যা স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত।
বালাচাওমেকার নিশ্চিত করে যে তাদের পণ্যগুলো সম্পূর্ণ ফ্রেশ এবং কোনো ক্ষতিকর প্রিজারভেটিভ ছাড়াই তৈরি হয়। তারা নিজেদের কিচেনে প্রতিটি ব্যাচ তৈরি করে এবং কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে তা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়। এই ব্র্যান্ডটি ইতোমধ্যেই দেশের ‘মোস্ট রিকমেন্ডড’ বালাচাও প্রস্তুতকারক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে, যা তাদের প্রতি গ্রাহকের আস্থা এবং সন্তুষ্টির প্রতিফলন।
প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক অর্ডার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ
যেহেতু প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক বালাচাও ক্রয় করতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, গ্রাহকদের উচিত শুধুমাত্র আসল এবং বিশ্বস্ত প্রস্তুতকারক থেকে অর্ডার করা। বালাচাওমেকার থেকে অর্ডার করলে যেমন আপনার স্বাদ ও মানের বিষয়ে নিশ্চিত থাকা যায়, তেমনি এটি স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ।
বর্তমান সময়ে যেখানে প্রতারণা এবং নিম্নমানের পণ্য বিক্রির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে নিজেদের সুস্বাস্থ্য এবং সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে ভোক্তাদের সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য, বালাচাও কেনার ক্ষেত্রে সঠিক প্রস্তুতকারক থেকে অর্ডার করা সবচেয়ে ভাল সমাধান।
যোগাযোগ এবং অর্ডার পদ্ধতি
বালাচাওমেকার থেকে আসল এবং স্বাস্থ্যকর বালাচাও অর্ডার করতে সরাসরি ইনবক্স অথবা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার করা যায়। যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার: 01673-375594।
সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি এবং স্বাস্থ্যসম্মত বালাচাও কেনার মাধ্যমে আপনি যেমন আপনার স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করবেন, তেমনি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এই সুস্বাদু খাবারের আসল স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
#স্পাইসিবালাচাও #বালাচাওমেকার #অথেনটিকবালাচাও